রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গত ৫ আগস্ট সকালে ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া ও হামলার অভিযোগে আওয়ামী ক্যাডার ও সাবেক সাংসদ কালামের অন্যতম সহযোগি আব্দুস সোবহানকে (৪৫) পুলিশ আটক করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি।
তবে সপ্তাহ খানেক আগে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। এই অবস্থায় রবিবার তাকে রাজশাহী শহর থেকে আটক করেছে রাজশাহী ডিবি পুলিশ। তিনি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। এছাড়া শিকদারী বাজারে রয়েছে তার একটি কীটনাশকের দোকান। আব্দুস সোবহানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।
আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুস সোবহান হাতে পাইপ নিয়ে ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া করছেন। সরকার পতনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজনেরা জানান, আব্দুস সোবহান এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি স্থানীয় এক সেনা সদস্যের মাধ্যমে সেনা বাহিনীতে ঝাড়ুদার পদে চাকরী নেন। পরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার চাকুরী চলে যায়। পরে গ্রামে এসে তিনি মাদক কেনাবেচা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
গত ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরে তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরে ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করেন। এই পদবী ব্যবহার করে তিনি ৮-১০ বছরেই কোটিপতি বনে যান। পরে এনামুলের সাথে গাদ্দারী করে আব্দুস সোবহান তাহেরপুরের মেয়র আবুল কালাম বাহিনীতে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট সাবেক এমপি আবুল কালামের ক্যাডার বাহিনীর সাথে ভবানীগঞ্জ এলাকায় ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া ও হামলার অভিযোগ রয়েছে।