শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নওগাঁয় গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে স্মরণসভা এক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে নওগাঁ শহরের প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারে স্মরণসভার শুরুতেই শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলার আহ্বায়ক মানিক মোহাম্মদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অ্যাড মুরাদ মোর্শেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, কবি ও লেখক ম আ ব সিদ্দিকী বাদাম, গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য জুয়েল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দীন খান, সংগঠক ওয়াবুর রহমান মোহন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তানজিমুল ইসলাম শিহাব, আশরাফিয়া জান্নাতি, লায়লা রশিদ লিয়াসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মুরাদ মোর্শেদ বলেন, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন নিষ্পেশনে মানুষের মাঝে যে ক্ষোভ তৈরী করেছিলো তার প্রকাশই গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। মানুষ এতদিন যে বেইনসাফির শিকার হয়েছে তার বিপরীতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছে। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে আমরা যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়লাম তা যেনো আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আমরা সেই ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন সরকারের দমন নির্যাতনের মুখে ক্রমেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়; অঘোষিতভাবে গড়ে ওঠে জাতীয় ঐক্য যেখানে সমাজের সকল অংশ, ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনও যুক্ত হয়। মানুষের মধ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তৈরী হয়। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তা রক্ষা করা জরুরী; নয়তো গণঅভ্যুত্থান তার কাঙ্খিত আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হবে।
আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকার ও অভ্যুত্থানের প্লাটফর্মকে জাতীয় ঐক্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবার দাবি জানাই। এই জাতীয় ঐক্যকে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। গণসংহতি আন্দোলন নওগাঁর আহ্বায়ক মানিক মোহাম্মদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে দেড় হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। কিন্তু আমরা দেখছি আহতরা এখনো যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আমরা অন্তবর্তী সরকারের কাছে অবিলম্বে আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
আর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে এমন একটি রাষ্ট্রের আকাঙ্খা তৈরী হয়েছে যা সকল জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা তৈরী করবে। তার জন্য আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। আমরা সেই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো।