বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় মোটির সাইকেল থামিয়ে মানিক হোসেন নামে একজন প্রভাষককে বেধড়ক মারপিট-সহ তার পকেটে থাকা নগদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, একটি হিরের আংটি, দামি মোবাইল আইফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১৩ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মানিক হোসেনের পিতা সাহারউদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার সময় প্রভাষক মানিক হোসেন বাঘা বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকুরিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তেপুকরিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের এমামুলের বাড়ী সংলগ্ন দোকানের সামনে পৌঁছালে এমামুল নিজে এবং সেন্টু ও মাসুদের হুকুমে ১০-১২ জনের একটি সংঘ্যবদ্ধ দল তার পথরোধ করে এবং বে-আইনি জনতায় লাটি সোটা দিয়ে তার উপরে অতর্কিত হামলা চালাই।
এরপর তাকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে সংবদ্ধ চক্রটি প্রভাষক মানিক হোসেনকে এমামুলের দোকান ঘরে নিয়ে যায়। অত:পর দোকানের সাটার বন্ধ করে হত্যার উদ্দ্যেশে তাকে লোহার পাইব ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। এ সময় তার কাছে থাকা ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, একটি হিরের আংটি, মোবাইল আইফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয় তারা।
এদিকে একটি মাধ্যমে এ খবর পেয়ে মুক্তার নামে অপর এক ব্যক্তি বিষয়টি জানতে চাইলে তাকেও মারপিট করা হয় এবং তার পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা বের করে ন্যায় প্রতিপক্ষরা। পরে অন্যান্য লোকজন বিষয়টা অবগত হয়ে তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যার সত্যতা নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত সিচিৎসক রাবেয়া খাতুন। আহত প্রভাষক মানিক হোসেন উপজেলার মনিগ্রাম আদর্শ কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক। অপরজন আহত মুক্তার আলীর মানিকের প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তরা আত্নগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, প্রভাষক মানিকের সঙ্গে প্রতিপক্ষদের সামান্য কিছু আর্থিত লেনদেন ছিলো এমনটি শুনেছি। তবে এর সত্যতা আমার সঠিক জানা নেই।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, আইন নিজ হাতে তুলে নিবে এ রকম একতিয়ার কারো নেই। অভিযোগ পেয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।