বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজশাহীতে নিহত শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ ৭২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সবশেষে সাকিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় আদালতের নির্দেশে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অয়ন ফারহান শামস, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশ এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশ ও চিকিৎসক না থাকার কারণে সাকিব আনজুমের মরদেহ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন কাজ সম্পর্ন করা হয়েছিল। সেকারনে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই মরদেহ কবর থেকে তুলতে আদালতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশ দিলে আজ ১৬ অক্টোবর নিহতের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষে আজ বিকেলে একই কবরস্থানে দাফন করা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব আনজুম নিহতের ঘটনায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ৪২ জনের নাম উল্লেখ-সহ ৩৪২ জন আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করে নিহতের বাবা মাইনুল হক। শুরুতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর ডিবি পুলিশ।
রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, এই মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ নেতার রুবেল সহ বেশ কয়েকজন আটক রয়েছে। এর-মধ্যে ডাবলু সরকারকে ১৬ দিনের দুই দফা রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের সংঘর্ষের সময় শাহমুখদুম কলেজের পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় সাকিব আনজুম। তাকে দুই দফা গুলি করে মারা হয়। নিহত সাকিব রেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র এবং তার বাড়ি নগরীর রাণীনগর এলাাকায়।