বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা হচ্ছে ইলিশ। এতে নেই কোন জব্দ-জরিমানা কিংবা অভিযান । মা ইলিশ প্রজনন রক্ষায় নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ-সহ সকল ধরণের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন নদীতে ইলিশ আহরণ ও হাট বাজারে ব্যাচা-কেনা কিংবা মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে এ ঘোষনার দ্বিতীয় দিনে সেই নিষেধ অমান্য করে বাঘার পদ্মায় ইলিশ ধরতে দেখা গেছে কয়েকজন জেলেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা’ ইলিশ সংরক্ষ করার নিমিত্তে সরকার পতিবারের ন্যায় এবারও পদ্মায় ইলিশ ধরা সম্পুর্ণ রুপে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন। এ লক্ষে সরকার মৎস্য জীবিদের মাঝে সরকারি সহায়তা হিসাবে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন। তবে বাঘার জেলেরা সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে মাছ ধরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের নদনদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার। যা শনিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে লক্ষ্য করা গেছে, রাজশাহীর বাঘার বিস্তৃর্ণ পদ্মা নদীতে সে নিয়ম মানা হয়নি। সরকারি পরিপত্রে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা-সহ উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ সময়ে জেলেদের জীবন-জীবিকার সুবিধার্থে ভিজিএফ চাল দেবে হবে বলেও সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হযেছে।
এদিকে সরেজমিন, বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর বাজার, আড়ানী পৌর বাজার ও নারায়নপুর বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে, মাছ ব্যবসায়ীরা দেদারছে ঝাটকা ইলিশ বিক্রি করছেন। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যযন্ত প্রশাসনের কোন নজর দারি লক্ষ্য করা যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
বাঘা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম জানান, অত্র উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়ন এবং ২ টি পৌর সভা রয়েছে। এরমধ্যে চারটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌর সভার আংশিক এলাকার মধ্য দিয়ে পদ্মানদী প্রবাহিত। ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে-পাকুড়িয়া এখানে মৎস্য জীবির সংখ্যা ১৭৫ জন, মনিগ্রাম ১৪৫ জন, গড়গড়ি ৮০ জন, চকরাজাপুর ৩৫০ এবং এবং বাঘা পৌরসভায় ৭৫ জন। সর্বমোট মৎসজীবি ৮২৫ জন।
এসব মৎস্য জীবির মাঝে স্ব-স্ব ইউনিয়ন এবং পৌর সভা থেকে আগামি চার দিনের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন,জেলেদের আগামী ২২ দিন নদীতে মাছ ধরতে নিষেদ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তারা নিয়মের ব্যাক্তই ঘটায় তবে তাদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।