বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মোঃ রাজন আলী: (স্টাফ রিপোর্টার):
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে- সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় মহানগরীর সাহেব বাজারের একটি রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ।
এবং সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাখেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চেম্বার অব কমার্স গুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের অনির্বাচিত, জনবিচ্ছিন্ন, অযোগ্য পরিচালনা পরিষদের নিস্ক্রীয়তার কারণে আমরা রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছি।
তিনি আরও বলেন, একটি চেম্বার অব কমার্স কাজ হলো রাজশাহীতে বিনিয়োগ নিয়ে আসা, রাজশাহীতে শিল্প কারখানা তৈরী করা, রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, এবং রাজশাহীতে সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়িকদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো এ গুলোয় হচ্ছে মূল কাজ।
সেকেন্দার আলী বলেন, “গত ১০ সেপ্টেম্বর উপরোল্লিখিত দাবীতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোঃ হুমায়ুন কবির এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। অবিলম্বে দাবী পুরন করা না হলে আমরা ধারাবাহিক কর্মসুচী পালন করব দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত”।
এই সময় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্ন উত্তরে তারা বলেন, “বিগত ১৫-১৬ বছর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ব্যবসায়ীদের কোন উন্নয়ন করেনি। এই অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা পালন করেনি। এছাড়াও আমরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া দিলেও কোন ফলপ্রসু কাজ করতে দেখিনি”।
তারা আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর থেকে গত ২ মাসের মধ্যে কোন কাজ করেনি। এমনকি তাদের ঘর হতে বের হয়ে কাজ করতে দেখিনি। এতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষন স্থবির হয়ে পড়েছে তাই তারা অবিলম্বে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি অন্তবর্তীকালিন পরিষদ গঠনের দাবি জানান এই সংবাদ সম্মেলনে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী দোকান মালিক সমিতি, বেকারী ব্যবসায়ী সমিতি, মাংস ব্যবসায়ী সামিত, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা।