শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা এবং রিকশায় উঠা নারী শিক্ষার্থীদের দিকে বাজেভাবে তাকানোর অভিযোগে এক রিকশা চালককে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয় । অভিযুক্ত রিকশা চালকের নাম মমিন। তার বাড়ি নগরীর বেলপুকুরের জামিরা এলাকায়।
শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, এই রিকশা চালক নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে। সে বাজে ভাষায় কথা বলে। তার তাকানোর ভঙ্গিও অনেক বাজে। এমন কি সে শিক্ষার্থীদের সামনে নানান অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এই রিকশা চালক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আগে টুকিটাকিতে নারী শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে মাস্টারবেশন করতেছিলো। যার কারণে তাকে কিছু মানুষ মারধর করেছিলো। তারপর তাকে বলা হয়েছিল, সে যেন আর ক্যাম্পাসে না আসে। কিন্তু সে এরপরও ক্যাম্পাসে আসে। সে বলে, ‘আমি প্রতিদিন আসি, আমি এসব করিনা।’ কিন্তু তাকে বিশ্বাস করা যায়না। তার কাছে মেয়েরা নিরাপদ না। যেসব মেয়েরা তার বিষয়ে জানেনা, তারা রিকশা তার রিকশায় উঠে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে।
আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনানাটি নাট্যকলা বিভাগের কিছু আপুদের সাথে ঘটেছে। আমরা তাকে নিষেধ করে দিয়েছি, যাতে সে ক্যাম্পাসে না আসে। তাও সে আসতেছে। আমরাতো তার কাছে নিরাপদ না। সে নারী শিক্ষার্থীদের দিকে খুব বাজেভাবে তাকায়। যারা তাকে চিনেনা, তারা তার রিকশায় উঠে যেতে পারে। তাই আমরা চাই, সে যেন ক্যাম্পাসে আর না আসে। আর এজন্যই তাকে আজ আমরা ধরে আটক করেছি।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রিকশাচালক মমিন। তিনি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নাই। আমি আজই জানতে পারলাম আমি এসব করেছি। মানুষের কাছ থেকে শুনেছি।
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা ওই রিকশা চালকের বিরুদ্ধে আরও আগেই আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। আমরা তাকে আরও আগে বিভিন্নভাবে ওয়ার্নিং করেছিলাম। কিন্তু আজও সে একই অপরাধে ধরা পড়েছে। আমরা চাচ্ছি, সে যেন আর কোনোদিন ক্যাম্পাসে না আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাইনা, সে এসে ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হোক। তাই পুলিশ প্রশাসনকে ফোন দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তারা তা নিবে। নারী শিক্ষার্থীরা আমার কাছে যেসব অভিযোগ দিয়েছে, তা আমি মুখে বলতে পারবো না। শিক্ষার্থীরাও মুখে বলতে পারেনি, আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। ভাষাগুলো খুবই কুৎসিত।