রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি: ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল নদীর ন্যায্য হিস্যা,গজলডোবা বাঁধ খুলে রংপুর বিভাগে আকষ্মিক বন্যার প্রতিবাদ এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রংপুর বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।
এসময় “বছর বছর ভাসতে চাইনা তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই”, ” উত্তরবঙ্গ কি দেশের বাইরে”, এক দফা এক দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবি”, ” ত্রাণ নয়, স্থায়ী সমাধান চাই”, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হোক”, “উত্তরে কান্না, চুপ কেন বাংলা” এমনসব প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া “উত্তরের কান্না আর না আর না”, “দিল্লি না তিস্তা? তিস্তা তিস্তা”, “রংপুরের কান্না আর না আর না”, “লালমনিরহাটের কান্না আর না আর না”, “কুড়িগ্রামের কান্না, আর না আর না”, “গাইবান্ধার কান্না আর না আর না” এমনসব স্লোগান দেন তারা।
মানবন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন,আপনারা লক্ষ্য করেছেন তথাকথিত বন্ধুপ্রতীম ভারত কতৃক গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে,এই বাঁধ খুলে দেওয়ার পরে তিস্তা সহ আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এটি শুধু আজকের ঘটনা নয় গজলডোবা বাঁধ দেওয়ার পর থেকেই তিস্তা পাড়ের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।তারা তাদের জীবনযাপন এর নুন্যতম যে অধিকার টুকু সেটিও ভোগ করতে পারছে না।সবকিছু হচ্ছে এখন ঢাকা কেন্দ্রীক,আমাদের সবকিছু দক্ষিণবঙ্গ কেন্দ্রীক।বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গকে বাদ দিয়ে চিন্তা করলে বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবে না।
আমি পূর্বেও বলছি উত্তরবঙ্গের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে,নিম্নসীমার নীচে তাদের আর্থিক অবস্থা,এগুলো কেন হচ্ছে, এখন সময় এসেছে এগুলো নিয়ে কথা বলার যেহেতু আমরা একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া যাচ্ছি।উত্তরবঙ্গের মানুষ সাহায্য অনুদানে বিশ্বাসী নয় , আমরা এর একটা যৌক্তিক সমাধান চাই।ভারতের জনগন এর সাথে আমাদের শত্রুতা নেই,কিন্তু তাদের যে রাষ্ট্রীয় পলিসি, এই রাষ্ট্রীয় পলিসির সাথে শত্রুতা নয় বলবো আমরা এর ন্যায্য হিস্যা দাবি করছি। আন্তর্জাতিক যে নদীগুলো আছে ভারত এগুলোর ন্যায্য হিস্যা না দিলে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।
গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রতিবছর ২-৩ বার করে বন্যা দেখা দেয়। যাতে করে কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়। স্কুল কলেজ মসজিদ পর্যন্ত এ থেকে রক্ষা পায়না। আমাদেরকে বারবার আশ্বস্ত করলেও কোনো রকম সমাধানের ব্যবস্থা করা হয় না। বাংলাদেশের সকল জেলা যেন সমভাবে বাজেট দেওয়া হয় বিশেষ করে কুড়িগ্রামের মতো সীমান্তবর্তী জেলা গুলো যেন একটু নজর দেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি। এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।