সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘায় সকল সবজির দাম চড়া, বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম

নুরুজ্জামান,বাঘা: বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। সরকার বদলের পর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ও কাঁচাবাজার গুলোতে চাঁদাবাজি অনেকটা কমে এসেছে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে এমনটা সবাই ভেবেছে। কিন্তু দাম তো কমেয়নি বরং নানা অজুহাতে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যধানে সবজি, ডিম ও মুরগি-সহ নিত্যপণ্যের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।

 

 

 

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বাঘার হাটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, দেশের কিছু-কিছু অঞ্চলে বন্যা এবং বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে মুল্যের প্রভাব পড়ছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাজার নজরদারি কম থাকায় ফড়িয়ারা ভোক্তার পকেট কাটছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারী বাড়লে দাম অনেকটা কমে আসবে ।

 

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বাজারভেদে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম ও মুরগি। সবজির বাড়তি দামের জন্য বন্যা ও বৃষ্টিকে দায়ি করেছেন ব্যবসায়ীরা।একই সাথে ‘বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও তারা উল্যেখ করেন। তাঁদের মতে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।’

 

 

বাঘার আমোদপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, পটল ও চিচিঙ্গা কেজি প্রতি ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এই দুটি সবজি গত সপ্তাহে বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এ ছাড়াও টমেটো ও গাজর বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।

 

 

আরেক সবজি বিক্রেতা মানিক মিঞা জানান, ৪০ টাকার লাউ এখন ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ২০ টাকা হালি কলা বিক্রী হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। অপর দিকে ৫০ টাকা দরের আলু বিক্রী হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে । একই সাথে মিষ্টি কুমড়োর কেজি ৬০ টাকা বিক্রি করছেন। তবে দুদিন আগেও ৪০-৫০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। এমনি ভাবে দাম বেড়েছে, রসুন, পেঁয়াজ,কাঁচা মরিজ,বেগুন ,কাঠুয়া ও পুঁইশাক থেকে শুরু করে সকল সবজির।

 

 

এদিকে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। অথচ এই দুই পণ্যের দামই নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। যার কোনোটিই বিক্রি হচ্ছে না, বেঁধে দেওয়া পূর্বের দামে।

 

 

বাঘা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো: মাসুদ আলী জানান, মুরগির কেনা দামের ওপর ভিত্তি করে বিক্রির দাম নির্ধারণ করেন । বর্তমানে মুরগির দাম কমা-বাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঠিক করেন। এখন ব্রয়লার মুরগি দুই কেজি ওজনের দাম কেজি প্রতি ১৮০ থেকে তিন কেজির উর্ধে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ক’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দামে। অপর দিকে সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দামে। এর দাম আগে ছিল কেজি প্রতি মাত্র ২৪০ টাকা।

 

 

তবে বাজারে দ্রব্য মুল্যের দাম নিয়ে একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা যে বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাত দিচ্ছে, তা যৌক্তিক নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয়ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-সহ সরকারের দায়িত্বশীল স্থানীয় প্রশাসন এবং এজেন্সিগুলোর তৎপরতা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

 

 

সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন,দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাই অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে খুব শির্ঘই তিনি বাজার মনিটরিং বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ | সময়: ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ | Daily Sunshine