সর্বশেষ সংবাদ :

কেউ দখল, চাঁদাবাজীর সাথে যুক্ত হলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে : শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী’ লীগ পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কারণ এই হায়নারূপি আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা দেশের মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। তিনি নিজেকে সব থেকে বেশী ক্ষমতাধর মনে করেছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঐ সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী বাকশালী সরকারের পতন হয় এবং খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। যাওয়ার আগে তিনি প্রায় সহস্রাধীন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেন।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে আজ বিএনপি’র গণজোয়ার নেমেছে। অথচ ওই খুনি হাসিনা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের অমানবিক নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরে রেখেছে। শুধু নেতাকর্মীই নয় বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরে রেখেছিলো। তাঁকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কোন মন্ত্রী, এমপি ও অনেক আমলা, প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়ে গেছেন। কারণ তারা যে অপকর্ম শেখ হাসিনার নির্দেশে করেছিলো তার সীমা নেই। এ কারনে শেখ হাসিনার সাথে সাথে তারাও পালিয়ে যায়। কিন্তু পালিয়ে লাভ হবেনা। সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মাধ্যমে কাঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এর মানে এই নয় বিএনপি ক্ষমতায় গেছে। বর্তমানে দেশে সংস্কার কাজ চলছে। দ্রুত এই সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান। নির্বাচন পর্যন্ত সবাইকে ধর্য্যধারণ করে নিজেদের সংগঠিত করার জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। দলের কেউ দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজী ও রাহাজানীর সাথে যুক্ত হলে দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এজন্য শান্তভাবে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও হেলাল উদ্দিন তালুকদার লালু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকটে শফিকুল হক মিলন ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া বিএনপি’ আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য মোহাম্মদ মহসিন, গোলাম মোস্তাফা মামুন ও তোফায়েল হোসেন রাজু।
এছাড়ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, কৃষক দল রাজশাহী জেলার সাবেক আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, বর্তমান আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি ও সাধারণ স,ম্পাদক রফিকউদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক রোমেনা হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদ অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সাধারণ সমপাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ।
এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বাঢক ও সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ | সময়: ৭:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ