রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা: রাজনীতি করতে গিয়ে একাধিক মামলায় কারাবাসে কাটিয়েছেন রাজশাহী জেলার আলোচিত বিএনপি’র আহবায়ক ও সিনিয়র নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। সর্বশেষ শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে তিনি একটানা ১৩ মাস হাজত বাস করেছেন। আর এই সময়ে তিনি হারিয়েছেন তাঁর মা’ ও স্ত্রীকে। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে থেমে নেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন। বর্তমানে তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ায় প্রত্যয় নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সু-সংগঠিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে গত মাসের ৫ তারিখ আ’লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর দল গোছাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আবু সাঈদ চাঁদ। তাঁর একটিই উদ্দেশ্য, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য দিনের অধিকাংশ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা-সহ চারঘাট-বাঘার সকল ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার পাঠ পর্যায়ে কাজ কর চলেছেন তিনি।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, আবু সাঈদ চাঁদ অসাম্প্রদায়িক চেতনাময়ী একজন রাজনৈতিক নেতা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার করেছে বিএনপি। চলছে ঘরোয়া বৈঠক, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা । এ থেকে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে তাদের দল এখন অনেক শক্তিশালী । এই সাংগঠনিক কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন দলের ত্যাগী নেতা আবু সাঈদ চাঁদ ।
তবে বিএনপির চারঘাট ও বাঘার একাধিক নেতা কর্মীরা বলেছেন, আগামী অন্তবর্তী কালীন সরকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজশাহীর চারঘাচ-বাঘা থেকে আবু সাঈদ চাঁদ এর দলীয় মনোনয় পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ কারনে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সকল মতবিভেদ ভুলে সাংগঠনিক তাৎপর্য তুলে ধরা-সহ দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার কারছেন। তিনি সাবেক চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রয়ী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে উল্লেখ করেন দলীয় নেতারা ।
এ দিক থেকে একাধিক মামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন একেবারে বিচ্ছিন্য। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের একমাস অতিবাহিত হলেও আ’লীগ নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে। অনেকেই বলছেন, এবার আ’লীগ নির্বাচনে যাবেনা। তবে জেলা ও কেন্দ্রীয় প্রায় ডজন খানেক নেতা দাবি করেছেন, তারা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার সিগনাল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। দলীয় প্রধানের সিন্ধান্ত পেলেই তারা একযোগে মাঠে নামবেন।
অপর দিকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম ও পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে দলীয় কর্মকান্ডে অনেকটা স্থিমিত হয়ে পড়েছিলো। এখন বিএনপি, ছাত্রদল, ও যুবদল-সহ সকল সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর ল্ক্ষে কাজ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া । তাঁর নির্দেশ মোতাবেক আমরাও দলীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিশ্বাস মানুষ একটানা ১৬ বছর আ’লীগের যে একক রাজত্ব ও দুর্ণীতি দেখেছে, তা-থেকে মুক্তি পেতে এবার বিএনপিকে জয় যুক্ত করবেন।