রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
গোমস্তাপুর প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিলাঞ্চলের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রামদাস বিলকে ঘিরে জেলার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রায় প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে শত শত পর্যটক ভিড় জমাচ্ছে বিলটিতে।
উপজেলার রহনপুর ও রাধানগর ইউনিয়নে বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে এ বিলের ব্যাপ্তি। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে বিলের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সীমান্ত নদী পূনর্ভবার দূকুল ছাপিয়ে বিলটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরিনত হয় মিনি সমুদ্র সৈকতে। পর্যটকরা অনেকেই এর নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার। উপজেলা সদর রহনপুর পৌর এলাকা থেকে সড়কপথে ৫ কিলোমিটার দূরুত্বে অবস্থিত।
এ সময় পূনর্ভবা নদী দিয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার সাথে নওগাঁর পোরশা ও সাপাহার উপজেলার নৌপথে যোগাযোগ ছিল। বর্ষায় ওই নদী দুকূল ছাপিয়ে মিনি সমুদ্রে পরিনত হওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুরা নৌ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। পুনস্থাপন হয় সেই পুরোনো নৌ যোগাযোগ। ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক ছোট বড় বিলে গ্রীষ্মকালে ধানচাষ হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে তা অন্যরুপ ধারন করে। বিলে চাষাবাদ করা কৃষকদের সুবিধার্থে ওই বিলে কংক্রিটের সড়ক ও পূনর্ভবা নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত হয়েছে। যা আলিনগর ও রহনপুর ইউনিয়নের সাথে ওই বিল দিয়ে রাধানগর ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
সীমান্ত নদী পূনর্ভবা নদী পুনঃখনন করে গোমস্তাপুর উপজেলার সাথে নওগাঁর পোরশা ও সাপাহার উপজেলার নৌ যোগাযোগ পুনস্থাপন করা হলে অনেক পথ ও সময় সাশ্রয় হবে বলে অনেকই মনে করেন। বিলে যাওয়ার রাস্তার দুপাশে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া বনভোজনের জন্য কয়েকটি ছোটবড় পিকনিক স্পটে প্রায় প্রতিদিনই বনভোজন হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্থানীয়দের রাতের বনভোজন সকলের দৃষ্টি কাড়ে। বিলাঞ্চলটি ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় রাতে ফ্লাডলাইটের আলোতে অন্যরকম রুপ ধারণ করে।
তাছাড়া, পাশের চূড়ইল বিলে শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। রামদাস বিলকে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা।