রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সাক্ষাত করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু ও সদস্য শেখ আরিফুল হক বনি এবং যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) রশীদুল হাসান, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (নগর বিশেষ শাখা) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কে. এম. আরিফুল হক, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জী ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) অনির্বান চাকমা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বও রাজশাহীতে বিভাগীয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই শোভাযাত্রা সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। নির্বিঘ্নে এই শোভাযাত্র শেষ করতে তারা পুলিশের সহযোগিতা চান। সেইসাথে পুলিশকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ^াস প্রদান করেন তারা। তারা বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। এই দল কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়। বিএনপি সন্ত্রাসীকান্ডকে ঘৃনা করে। তবে ৫আগস্ট পরিবর্তী সময়ে আওয়ামী প্রেতাত্তা দলের সাথে মিশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঐ সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তারা কমিশনারের সহযোতিগা কামনা করেন।
তারা আরো বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আড়ালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভাঙ্গচুর করেছে। সাধারণ জনগণযে ভাঙ্গচুর করেনি এটা বলাও যাবেনা। কারন এটা হচ্ছে দীর্ঘদিনের চাপাক্ষোভ। ততকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার খুনি হাসিনা আইন শৃংখলা বাহিনীকে গোলামে পরিণত করেছিলেন। এর মধ্যে অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা বিরোধীদল নিধনে ব্যস্ত ছিলো। প্রতিটি নেতাকর্মী নামে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে তারা ঘরে থাকতে পারেননি। সেই অবস্থা আওে যেন না হয় তার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
পুলিশ কমিশনার বিএনপি নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে করার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান। তিনি বলেন অতিতকে আঁকড়ে পড়ে থাকলে সামনে কোন কাজ হবেনা। পুলিশ বাহিনী একটি সুশৃংখল বাহিনী। তবে কিছু সদস্যর কারনে এবং বিগত সরকারের অতি চাপে এই বাহিনীর ভাবমুর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়ছে। তবে এখন তারা আবারও জনগণের পাশে থেকে জনগনের বন্ধু হয়ে দেশের এবং আইন শৃংখলার উন্নয়নে কাজ করবেন। এই কাজে ছাত্র-জনতা, পেশাজীবীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।