রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক মামলা থেকে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্ধ শতাধিক মামলার আসামি হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত কদিনে বেশ কয়েকটি মামলায় মুক্তি পাওয়ার পর তার দেশে ফেরা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দুর্নীতির মামলায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে সময় ১৩টি দুর্নীতির মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে তাকে। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সব মামলায় জামিনে মুক্তি পান তারেক রহমান। এর সাত দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
ওয়ান ইলেভেন এবং তারপর আ.লীগ সরকারের সময় তারেকের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড-সহ আরো কয়েকটি মামলার সাজা হয়েছে তার। এই সকল মামলাতেই তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার কয়েক দফার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিলো না বলে জানালেন তার আইনজীবী।
গত ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়েই তিনি দেশে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৬ বছর ধরে লন্ডনে আছেন তিনি এবং সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন।