রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। পেঁপে কাঁচা সবজি ও পাকা ফল হিসাবে ব্যবহার হওয়ায় স্থানীয় বাজার সহ বড় বড় শহর গুলোতে এর রপ্তানী বেড়েই চলেছে। তাই কৃষকদের অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। বাগমারায় বানিজ্যিক ভাবে চাষকরা পেঁপে বাগানগুলোর অধিকাংশই রাস্তার ধারে হওযায় দূরদূরান্তের বেপারীরা ট্রাক নিয়ে এসে বাগান থেকেই পেঁপে সংগ্রহ করে নিয়ে যান। এতে বাগান মালিকরা পরিবহন খরচ ও হাটের খাজনা থেকে রেহাই পান।
উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান জানান, গত বছর তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গত বছরের এই সফলতায় তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। এবার তার ফলন ভাল হওয়ার পাশাপাশি দামও পাচ্ছেন ভাল। পেঁপে চাষে কৃষক লুৎফরের সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। একই গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান তাদেরই একজন। তিনি জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁপে চাষে তুলনামূলক খরচ ও শ্রম কম কিন্তু লাভ বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁপে আবাদ হয়। এখানে আবাদকৃত অধিকাংশই পেঁপে হাইব্রডি জাতের। এই জাতের পেঁপে অতিদ্রুত ফল দেয়। গাছ খুব বেশি বড় হয় না। একেকটি পেঁপে গাছ কমপক্ষে তিন বছর পর্যন্ত ফল দেয়। তবে ভাল করে যত্ন নিলে আরো এক বছর ফল দেয়। পেঁপে চাষের জন্য উঁচু জমি এবং বেলে মাটি উপযোগি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পেঁপে একটি ওষধি সবজি। এর ভেষজ গুনাগুন অনেক। ডায়াবেটিজ, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ, রক্তপরিস্কারক সহ নানান জটিল ও কঠিন রোগে পেঁপে একটি মহৌষধ।