রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বসন্তকেদার দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন মাদ্রাসাটির সুপার গোলাম মোস্তফা। রবিবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সুপারিটেনডেন্ট গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনে মাদ্রাসার কয়েকজন কর্মচারী ও শিক্ষক। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের দায়ে চাকুরিচ্যুত সুপার ওলামা লীগের সদস্য পদ গ্রহণ করে এবং তৎকালীন এমপি আয়েন উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাশীল হয়ে পূণরায় চাকুরীতে পূর্ণবহাল হন।
অত্র মাদ্রাসায় চাকুরী একাধিক প্রার্থীকে জাল সার্টিফিকেট সরবরাহ করে নিয়োগ বাণিজ্য এবং প্রার্থীর সাথে মাসিক বেতন ভাতা ভাগাভাগি করেন। বেতন ভাতা ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে উক্ত প্রার্থীর বেতন বন্ধ রাখেন। উল্লেখ পরবর্তীতে কম্পিউটার শিক্ষক তার সকল বৈধ সনদপত্র দাখিল করা সত্বেও প্রায় এগারো বছর থেকে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে অত্র মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে ঘুষ দাবী করে ঘুষ দিতে না চাওয়ায় দুই মাসের বেতন বন্ধ রাখেন সুপার। তথ্য গোপন রেখে সিএমবি ও ব্যাক্তি মালিকানায় থাকা জমির উপরে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ এবং সেখান থেকে অর্থ কারচুপির অভিযোগ রয়েছেন। ব্যাক্তিগত আক্রোশে সহকর্মীদের বেতন বন্ধ রাখতেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশাল অন্কের অর্থ লেনদেন এবং সে অর্থ সভাপতি সহ সুপার আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানের পাশে ভূমির মালিক তার বহুমূল্যের ভূমি মাদ্রাসায় দানের বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণীর পদ প্রত্যার্শী ছিলেন। কিন্তু সে ব্যাক্তিকে নিয়োগ না দিয়ে আওয়ামী ক্যাডারদের নিয়োগ প্রদান করেন। মাদ্রাসার শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের তিন মাসের বেতন বন্ধ রাখা এবং স্থায়ী বন্ধের হুমকি প্রদান। প্রতিষ্ঠানের রুটিনে সুপারের জন্য ক্লাস বরাদ্দ থাকলেও তিনি নিয়মিত ক্লাস নিতেন না। মাদ্রাসার সুপার অত্র মাদ্রাসার ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন এবং সংসার বিচ্ছিন্ন করে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে যেগুলো অভিযোগ আনছে সেগুলো সবগুলোই মিথ্যা। আমি দীর্ঘদিন থেকে এই মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করে আসছি কখনো কারো সাথে অন্যায় কিছু করিনি। এই মাদ্রাসার কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করাচ্ছে। আমার ছেলে মাদ্রাসায় আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করছে। আমি পদত্যাগ করতে চাইনি আমাকে জোর করে পদত্যাগ করিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’