রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর যে কোন দলের চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত। এসময় নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। অহেতুক মিথ্যা মামলার বেড়াজালে হয়রানিসহ নিরাপদ ভাইদের পুলিশ ও আ’লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা খুন করেছে। এমন কি তাদের জানাযা পর্যন্ত আমাদের পড়তে দেয়া হয়নি। এতো জুলুম নির্যাতনের পরেও প্রতিশোধের নীতি পরিহার ও সকল বিষয়ে ক্ষমা প্রদর্শন করে জামায়াতে ইসলামী ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটাকে নতুন ভাবে গড়তে চাই। এর ধারবাহিকতায় কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয়ভাবে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি।
শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী অন্তবর্তী সরকারের সময় বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা এবং রাজশাহীসহ দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দীন মন্ডল। রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক সারওয়ার জাহান প্রিন্সের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেন, নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, রাজশাহী মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাঃ সিফাত আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবদুল্লাহ মুহায়মেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের মধ্যে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা অবর্ননীয় পুলিশী নির্যাতনের স্বীকার হলেও সব কিছু ভুলে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ লাইন, বিভিন্ন মন্দির ও হিন্দুদের বাড়ি পাহরাসহ লুটপাট এবং চাঁদাবাজী রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সাথে আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের সার্বিক দায়-দ্বায়িত্ব গ্রহনসহ আহতদেরও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবায় যথাযথ ভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সর্বাত্বক ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী শাখা।
নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফ্যাসিষ্ট ও স্বৈরাচারী সরকার জামায়াত-শিবিরের নামে ৫৫টি সহ অন্যান্য ৪৫০টি মামলা করেছে। আর আজ্ঞাত মামলা হিসেবে এর সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারের অধিক। জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আন্দোলনে ১১ জনকে হত্যা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুপিয়ে দুই জনের পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কিছু প্রক্রিয়াধীন।
কিš‘ আন্দোলনের ঘটনার সকল মামলার দ্বায়িত্ব জামায়াত নিবেনা। তবে আমরা সর্বো”চ চেষ্টা করছি যাতে নিরাপরাধ কোন ব্যক্তি হয়রানীর স্বীকার না হয়। এসময় তিনি সকল সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ এবং ন্যায়-নীতির সাথে সংবাদ পরিবেশন করার আহ্বান জানান।
সানশাইন / শামি