শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সংঘটিত সহিংসতায় হতাহতদের সাহায্যার্থে গঠিত ফাউন্ডেশনে ৫ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২৩ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৩৬ তম পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে ২২ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন হতে ১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ ১ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ২৩ কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হবে। “তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট, সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক।”
‘হয়রানির শিকার’ হওয়ার অভিযোগ করে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। বুধবার গভীর রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে অনুসরণ এবং পথরোধ করেছে। পোস্টের সঙ্গে সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করেছেন সোহেল তাজ।
“দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধান। আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না।
“জবাবে সে আমাকে বলল আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে, সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বলল। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বলল তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলো।”
‘এটা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের হয়রানি’ দাবি করে সোহেল তাজ লিখেছেন, “তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা, এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি, ছি।” সোহেল তাজের ওই পোস্টের মন্তব্যের অংশে অনেকেই ‘হরয়ানির’ নিন্দা জানিয়েছেন। কেউ আবার তাকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন। আট ঘণ্টায় সেখানে মন্তব্য করা হয়েছে ৮৮০০টি।
মারুফ কামাল খান নামের আইডি থেকে একজন লিখেছেন, “এটা অবশ্যই হয়রানিমূলক ও নিন্দনীয়। এমন ধারা বন্ধ হওয়া অবশ্যই উচিত। তবে সব ‘একই কায়দায় চলছে’ – এই শব্দবন্ধের সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। আপনার প্রিয় পার্টির শাসনামলের কায়দা ছিল অনেক বেশি বীভৎস, পৈশাচিক ও ভয়ঙ্কর। আপনি কখনো কখনো সেই ভয়ঙ্করের মৃদুমন্দ সমালোচনা করলেও বেশিরভাগ সময়ে এবং মোটাদাগে সেই ফ্যাসিস্ট দল ও রাজনীতিকে মহিমান্বিতই করেছেন। একজন পাব্লিক ফিগার হিসেবে দুর্বোধ্যতা ও অস্পষ্টতা কাটাতে আপনার নীতি-আদর্শ ও নৈতিকতাকে আরো স্পষ্ট করা উচিত বলে আমার ধারণা।”
লাভলু মোল্লা শিশির নামের আইডি থেকে আরেকজন লিখেছেন, “কিছু মনে করবেন না ভাই, আপনাকে একটা পরামর্শ দেই, আপনি দ্রুত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হবার ডাক দেন এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আপনি একাই লড়তে থাকুন, গ্রেফতার হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ কোটি কোটি মানুষ আপনার মুক্তি চাইবে অন্যথায় কেউ আপনাকে….. আপনার হাতে খুব বেশি সময় নেই, আপনার জিমের বন্ধুরা আপনাকে ছুটিয়ে আনবে।”