সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর চূড়ান্ত বিপদসীমায় পৌঁছেছে। এ জন্য পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। এই পানি বের করে দিতে রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে খোলা রয়েছে বাঁধের ১৬টি জলকপাট।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ মিন সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৯২ এমএসএল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ছয় ইঞ্চির পরিবর্তে সকাল থেকে এক ফুট করে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় হ্রদের পানি ছাড়ার পরও পানি বাড়ছে। তাই সকাল থেকে স্পিলওয়ের গেট ছয় ইঞ্চির পরিবর্তে এক ফুট করে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে। যদি পানি এভাবে বাড়ে তাহলে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য, জেলার রাঙামাটি সদর, লংগদু, বরকল, নানিয়াচর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা জানান, রাঙামাটি পৌরসভা এলাকায় ১২ মেট্রিক টন এবং উপজেলা সদরে ছয়টি ইউনিয়নে ১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরা বিতরণ শুরু করেছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে পানি কমে আসবে।’