মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার খড়খড়ি হাট-বাজারের ইজারাদারকে খাজনা আদায়ে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ইজারাদার মো. মেহেদী হাসান মন্টু।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পবা উপজেলার খড়খড়ি হাট বাজারের ১৪৩১ বাংলা সনের সর্বোচ্চ দরে ইজারা নেন মো. মেহেদী হাসান মন্টু। এই হাট-বাজারকে কেন্দ্র করে প্রায় ৭৫-৮৫ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়াও এ হাট-বাজারের প্রায় ৪০ জন শেয়ার হোল্ডার আছেন। শেয়ার হোল্ডারের মধ্যে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যও রয়েছেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তারা প্রতিদিন খাজনা আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরপরেই একটি পক্ষ হাটের দু’টি অফিস ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কয়েকদিন খাজনা আদায়ে বিরত থাকেন। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ১৩ আগস্ট আবারো খাজনা আদায় শুরু করলে সকাল ৭টার দিকে একটি পক্ষের বাধার মুখে পড়েন ইজারদার।
অপরদিকে, বাধা দেয়া পক্ষটি অভিযোগ করেন, ইজারদার এই হাটটিতে খাজনার নামে চাঁদাবাজি করে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমাধান না করলে খাজনা আদায় করতে দেয়া হবে না বলে জানায়।
এরপরে, ইজারাদারের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানা ইনচার্জসহ জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। ১৬ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ও বিজিবি প্রতিনিধিরা হাটে আসেন। সেখানে জানানো হয়, হাট-বাজার একটি সরকারি সম্পত্তি। যা ইজারা দিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায় করা হয়। ইজারাগ্রহণকারিরা খাজনা উঠাবেন। যদি ইজারদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে তাহলে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। এরপরেও হাটে খাজনা তোলা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ইজারাদার মেহেদী হাসান মন্টু বলেন, খড়খড়ি হাট-বাজার একটি কেন্দ্রিক এলাকা। এখানে দলবল নির্বিশেষে সবাই কাজ করেন। কারো শেয়ার আছে বা কেহ খাজনা আদায় করেন। বর্তমানে কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে সুবিধা নেয়ার জন্য একটি পক্ষকে ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করছেন।
এব্যাপারে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, হাট-বাজার সরকারি সম্পত্তি। আর ইজারা দিয়েই হাট-বাজারের সরকারি রাজস্ব নিশ্চিত করা হয়। ইজারাকৃত কোন হাট-বাজারের টোল বা খাজনা আদায়ে বাধাদান দুঃখজনক। তবে ইজারার নামে কেহ জোরপূর্বক বেশী আদায় করলে এবং কারো অভিযোগ পেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে।