রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান বন্যায় দেশের ১১টি জেলার ৭৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। বিপৎসীমার উপরে থাকা ১৩টির মধ্যে উল্লেখ-যোগ্য ৯টি পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে বানবাসী মানুষ।
নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আরও কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সোনাগাজী ও দাগনভূঞার অবস্থা ভয়াবহ। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী। দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছা-সেবকরা।
চট্টগ্রামের মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাওয়ায় ঘর-বাড়ি, জমি ও সড়কের ক্ষত স্পষ্ট হচ্ছে। এ সকল এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ সহায়তা।
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজান থেকে আসা পানির চাপ এবং টানা ভারী বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বাড়ছে দুর্গতদের। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। একতলা বিশিষ্ট কিছু আশ্রয় কেন্দ্রেও পানি ঢুকেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বন্যায় ১০টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দী। বিভিন্ন আশ্রয়-কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪ শ পরিবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপ-সাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থান করা লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। দেশের উপকুলীয়ও এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, সব সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
সানশাইন/ আর এক্স