রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এই ঘটনাটি জুলাই মাসের। নাইরোবি’র এক ময়লার ভাগাড় থেকে পাওয়া ৯ নারীর ছিন্ন-ভিন্ন লাশ। এতে কেঁপে উঠে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। গোটা দেশজুড়ে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। আটক করা হয় ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত কলিন্স জোমাইসি খালুশা-কে। তিনি একই ভাবে গত দুই বছর ধরে হত্যা করেন ৪২ নারীকে।
কিন্তু, ভয়ঙ্কর এই খুনীকে এক মাসের বেশি হেফাজতে রাখতে পারলো না কেনিয়া পুলিশ। হাজতের ছাদে থাকা কাঁটাতারের বেড়া কেটে পালিয়েছে এই আসামি-সহ ১৩ জন বন্দি।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে নাইরোবির একটি পুলিশ স্টেশনে হয় এ ঘটনা। আটকের পর থেকেই যেখানে রাখা হয়েছিলো খালুশা’কে। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।
এ ঘটনার পর বিপাকে মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগ উঠছে থানার ভেতরের কেউই পালাতে সাহায্য করেছে আসামিকে। ভারপ্রাপ্ত আইজিপি গিলবার্ট মাসেংগেলি জানান, সকালে গিগিরি পুলিশ স্টেশনে বন্দিদের পালানোর একটি ঘটনা ঘটেছে। ১৩ বন্দি থানা থেকে পালিয়ে যায়। যেখানে সিরিয়াল কিলিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত আসামিও পালিয়ে যান। থানার ভেতরের কেউই তাদের পালাতে সাহায্য করেছে, এমনটাই প্রাথমিক তদন্ত বলছে।
বন্দিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে থানার ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সেই সাথে খালুশা’কে ধরতে চলছে বিশেষ কার্যক্রম।
এর আগেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে একাধিকবার অভিযুক্ত হয়েছে কেনিয়ার পুলিশ। দেশটিতে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনাতে-ও বাহিনীটির বিরুদ্ধে চলছে বিশেষ তদন্ত।
সানশাইন/ আর এক্স