রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার শায়লা পারভীন এবং বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম-সহ আওয়ামী ও যুবলীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দাযের করা হয়েছে।
গত রোববার (১৮ আগস্ট) হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করার অভিযোগে বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদলকর্মী আবদুল মতিন বাদী হয়ে বাগমারা থানায় মামলাটি করেছেন।
তাহেরপুর পৌর যুবলীগের সদস্যসচিব সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত-নামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে। ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় হওয়া থানায় এটি প্রথম মামলা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য যুবদল কর্মী আবদুল মতিন মোটর-সাইকেল নিয়ে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে আসছিলেন। তিনি তেলিপুকুট গাঙ্গোপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগের নেতা সোহেল রানা, তাহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর এরশাদ আলীসহ দলীয় ক্যাডারেরা লাঠি, রড, ককটেল, হাঁসুয়া, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করেন। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন এবং পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষার করেন।
তবে আসামিরা তাকে পুকুর থেকে তুলে হকিস্টিক, রড দিয়ে মারধর করেন। এছাড়াও তাকে গুলি করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটর-সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে একজনের বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেন। সেখান থেকে পরিবেশ অনুকূলে এলে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলার বাদী বলেন, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী শায়লা পারভীন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলামের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসা নিতেও ভয় পাচ্ছেন বলে জানান।
মামলার আসামিরা জানান, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। মামলা দিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হচ্ছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মামলার বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও আরও জানান তিনি।