বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: জ্বর-সর্দি, সর্দি-কাশিতে তুলসীপাতার ব্যবহার অনেক পুরানো হয়েগেছে। যেকোনো বয়সের মানুষের সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা দূর করার ক্ষেত্রে তুলসীপাতা দারুণ কার্যকর। শিশুদের দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদের সর্দি–কাশির ক্ষেত্রে আধা চা–চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস মিশিয়ে খাওয়ালে কাশি ভালো হয়ে যায়।
এছাড়া বুকে কফ বসে গেলেও সকালবেলায় এক গ্লাস পানিতে তুলসীপাতা, আদা ও চা–পাতা ভালো করে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাথা-ব্যথা কমাতে তুলসীর চা অনেক কার্যকর। গলা-ব্যথায় তুলসীপাতা ফুটিয়ে গড়গড়া করলেও আরাম পাওয়া যায়। তবে, তা মধু দিয়ে খেলে চলবে না। খেতে হবে পানিতে ভিজিয়ে।
তাহলে জেনে নিন তুলসী পাতার ভেজানো পানি খেলে যেসব উপকার হবে……….
১. সাধারণ সর্দিকাশি তো বটেই, শ্বাসযন্ত্রের জটিল কোনও সমস্যা থাকলে নিয়মিত এই পানীয় খেতে পারেন। ফুসফুসে জমা কফ, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে তুলসীপাতা ভেজানো পানি।
২. শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে নিয়মিত তুলসীপাতা ভেজানো পানি খেতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে, তুলসীর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণও রয়েছে।
২. শারীরিক সমস্যার পাশা-পাশি মানসিক চাপ, ক্লান্তি কাটাতেও সাহায্য করে তুলসীপাতা ভেজানো পানীয়। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে মনকে শান্ত রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পানীয়টি অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্ট হিসাবে কাজ করে।
৪. তুলসীপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। শরীরে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ‘প্যাথোজেন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে এই পানীয়।
৫. হজমের সমস্যা হলেও এই পানীয় খেতে পারেন। তুলসীপাতায় এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা প্রাকৃতিক ‘কার্মিনেটিভ’ হিসাবে কাজ করে। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার সমস্যায় এই পানীয়টি তাই দারুণ কাজ দেয়।