বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যু-বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু-সহ ২৬ জনকে হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হত্যা করা হয় তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে।
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনিরের বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।
তবে বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় ছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। এতে তারা প্রাণে বেঁচে যান।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর ১৫ আগস্টে শোকাবহ পরিবেশে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে। দল ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠন মৃত্যু-বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতো এবং এ দিন সরকারি ছুটি থাকত। তবে গত মঙ্গলবার সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে।