বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা-সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন নিহত রাজনের ভাই মো. রাজিব। আদালত বাদীর জবান বন্দি গ্রহণ করে ঢাকার কাফরুল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
এই মামলায় আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইন-মন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আ.লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ নিয়ে আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে এক আইন-জীবীকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে আজ বুধবার শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইন-মন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক এবং র্যাবের সাবেক মহা-পরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। তাছাড়া র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা-পশ্চিম থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ওই আইনজীবী আদালতে মামলার আবেদন করেন।
মুদি দোকানদার আবু সায়ীদকে হত্যার অভিযোগে গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর এটিই তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শেখ হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানার নির্দেশ দেন।