বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রাণী-শরীরকে তরতাজা ও চাঙ্গা রাখে ঘুম। ঘুমের সময় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎসারিত হয়। ঘুমের মাধ্যমে মস্তিষ্ক তার ক্লান্তি দূর করে শক্তি সঞ্চয় করে। তবে আমরা চিত, কাত, উপুড় এমনই নানা-ভাবেই ঘুমিয়ে থাকি। তবে ভুল ঘুমের অভ্যাসে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।
ইনস্টিটিউশন অব মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাত কোটি মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগছেন। তবে সহজেই ঘুমের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। মানুষ যদি কিছু পদ্ধতি মেনে চললে এই সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনেনি এই পদ্ধতি গুলো:
চিত হয়ে ঘুমানো: ঘুমের সবচেয়ে ভালো অভ্যাস চিত হয়ে ঘুমানো। এই ভাবে ঘুমালে মাথা সোজা থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে শরীরের ভর চমৎকার ভাবে বিভাজিত হয় । এটি ঘুমের সবচেয়ে সঠিক উপায় বলে জানান চিকিৎসকরা। আর যারা এসিডিটির (পেটে গ্যাস) সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এভাবে শোয়ার অভ্যাস উপকারী। কিন্তু বালিশের মধ্যে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বুকের দিকে চাপ লাগে, যার ফলে এসিডিটি বাড়ে।
বাম পাশে কাত হয়ে ঘুমানো: বাম পাশে কাত হয়ে ঘুমানো আরেকটি ভালো দিক রয়েছে। এভাবে ঘুমালে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
চিকিৎসকরা বলেন, এভাবে ঘুমানোর অভ্যাসে শরীরে রক্ত চলা-চলকে সচল রাখতে কাজ করে এবং ঘুম ভেঙে আপনি বেশ ফুরফুরে অনুভব করবেন। তবে এক্ষেত্রে বালিশটিও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হতে হবে।
ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমানো: এই অভ্যাসকে ততটা ভালো বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি বাড়তে পারে। এতে হার্ট ফেইলিউর বা এসিডিটি (পেটে গ্যাস) বাড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। যেসব নারী গর্ভধারণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এভাবে শোয়া সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে আপনি যদি স্বাস্থ্যবান হন, তাহলে চিন্তার বিষয় নেই, আপনি চাইলে ডান কাতে ঘুমাতে পারেন।
পায়ের ওপর পা তুলে ঘুমানো: উপুড় হয়ে পা খাড়া করে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকটাই ক্ষতিকর। যদি মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখেন, এভাবে শুয়ে আছেন এবং এক পা আবার পেঁচিয়ে আছে আরেক পায়ে সাথে, তাহলে সোজা চিত হয়ে যান।
চিকিৎসকরা বলেন, দুই পা উপরে তুলে ঘুমালে কোমরে ভর বেশি পড়ে না এবং এতে কোমর ব্যথায় ভুক্ত-ভোগীদের হয়তো আরামও লাগতে পারে, কিন্তু এক পা ওপর দিকে তুলে ঘুমানো একদমই উচিত নয়।
উল্টো বা উপুড় হয়ে শোয়া: দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, যারা উপুড় হয়ে ঘুমান, তাদের অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। কেননা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ঘুমানোর সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। তারা ঘুম ভেঙে ওঠার সময় শরীরে ব্যথা বা টান অনুভব করতে পারেন।
এছাড়াও বয়সভেদে ঘুমের চাহিদা ভিন্ন হয়।
১৯ থেকে ৫৫ বছরের মানুষের জন্য দৈনিক আট ঘণ্টা,
৬৫ বছরের ওপরের মানুষের জন্য ছয় ঘণ্টা,
শিশুদের ক্ষেত্রে ১৬ ঘণ্টা,
৩ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ১০ ঘণ্টা
এবং ১৩ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে ১৩ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
সানশাইন/ আর এক্স