বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধান-মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যদের ঠেলে দেওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। সেই সঙ্গে তারা পুলিশ হত্যার বিচারও চেয়েছেন।
গত বুধবার (৭ আগষ্ট) তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন নগরীর বোয়ালিয়া জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনাসদস্যরা তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সরকারের পতন হচ্ছে তা আগের দিনই টের পেয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখন ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তারা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। এর ফলে থানায় ঢুকে ঢুকে পুলিশ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের এসব হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে তারা মনে করেন। এ জন্য তারা ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও বিচার চান। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ৯ দফা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন, তা বাস্তবায়নের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ থেকে আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সমালোচনা করা হয়।
এমন হট্টগোলের মাঝেই ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকীকে পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক দিয়ে নিরাপদে বের করেন সেনাসদস্যরা। পরে একজন জ্যেষ্ঠ সেনাসদস্য বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যদের শান্ত করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে কথা বলা যায় নি।
এদিকে একই দাবিতে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। ডিউটি না করে তারা বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি একাডেমির ভেতরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদুর রহমানের ওপর চড়াও হন।