বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ আবারো রাজাকার-আলবদরদের হাতে যাবে, সেটি আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমাদের শরীরে বীরের রক্ত, আমরা তাদের কাছে পরাজিত হতে পারি না।
আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের দল। আমাদের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারেন। অতীতেও আমরা এর প্রমাণ দিয়েছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি শেষে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এরআগে নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩/২০১৪ যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, রেল লাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, সেই বিএনপি-জামায়াত-শিবির সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক তাদের পাল্লায় পড়ে বিপদগামী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌম মানে না, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে মানে না, তারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো যে ৯ দফা দাবি তারা দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা আছে।’ এখনো সময় আছে, আপনারা (আন্দোলনকারীরা) ঘরে ফিরে যান।
রাসিক মেয়র বলেন, শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেবো না। কেউ যেন অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু তারা যদি কখনো আমাদের গায়ের উপর এসে পড়ে, তাহলে তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করবো।
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আরিফুল হক কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মানজাল, এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, সদস্য আতিকুর রহমান কালু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ, জেলা যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, যুব ও ক্রীড়া বিয়ষক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য মোশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, ইউনুস আলী, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন সহ সকল থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।