বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনে থমথমে ছিল রাজশাহীর মোহনপুর। রবিবার পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভুমি অফিস ও একটি মার্কেট। এছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন সর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে মোহনপুরে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা মোহনপুর উপজেলায় জড়ো হতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা মোহনপুর থানায় হামলা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে সরে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা থানার মধ্যে ঢুকে ভাংচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা মোহনপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় সেখানে থাকা মোটরসাইকেল রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেয়। একই সাথে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় তারা।
এদিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করে তারা। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও।
এদিকে, এক দফা দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে নানান স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন হাতে দেখা যায়। অনেকের গায়ে ও মাথায় ছিলো জাতীয় পতাকা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাজার হাজার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজশাহী রুয়েট গেটের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি নগরী তালাইমারি ভদ্রা হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছে। এর আগে সকাল সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রুয়েট ও তালাইমাড়ি এলাকায় জড়ো হয়। এদিকে, অসহযোগ আন্দোলনের ফলে রাজশাহীতে সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট ও বিতানগুলো বন্ধ দেখা যায়। সকাল থেকে রাস্তাঘাটেও যান চলাচল কম দেখা গেছে ।
তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। এদিকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি কোন ধরনের দূরপাল্লার গণপরিবহন। এছাড়া বন্ধ রয়েছে স্বল্প ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল। অন্যদিক, অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেও খোলা রয়েছে সরকারি অফিস আদালত ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান।