বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে তিন জন এবং আহত হয়েছে অনেকেই। জেলা আ.লীগের কার্যালয়, জাসদ কার্যালয়, টাউনক্লাব, টিএন্ডটি অফিসের ক্যন্টিন, ভেতররে কয়েকটি প্রাইভেট কার, মোটর-সাইকেলসহ আরও বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত বগুড়া সাতমাথা আন্দোলনকারীদের দখলে থাকলেও বর্তমানে পুলিশের দখলে রয়েছে। তবে সাত-মাথার বীরশ্রেষ্ট স্কয়ার থেকে দেরশোগজ দুরে অবস্থান নিয়ে আছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও বিজিবি সর্বক্ষন টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে।
অপরদিক থেকে আন্দোলনকারীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। ইতো-মধ্যে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত মনির নামের যুবকে নিয়ে থানা ঘেড়াও করেছে আন্দোলনকারীর। এছাড়া বগুড়া তিনমাথা রেলগেট এলাকায় আরও একজন নিহত হয়েছে।
দিনের প্রথম প্রহরে সকাল ৯টার দিকে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা হাতে লাঠি নিয়ে সাত-মাথায় অবস্থান নেয়। এ সময় কিছু আ.লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। তবে বেলা ১০টার দিকে বিভিন্ন সড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা সাত-মাথায় প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল করে করে তোলে বগুড়া শহর। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস এলাকায় অবস্থান নিয়ে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের ভেতর ভেকে কিছু আইনজীবী একটি মিছিল নিয়ে বের হয়ে সাত-মাথায় প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশরাও সাত-মাথার দিকে থাকা আবস্থায় এদের দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়।
বর্তমানে শহরের বড়গোলা, জলেশ্বরীতলা, সাতানীবাড়ি, রেল স্টেশন এলাকা, গোহাইল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক লাখ আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়ে আছে ও সড়কের ওপর টায়ার ও বিভিন্ন কাঠের গুড়িতে আগুন ধরিয়ে রাস্ত অবরোধ দিয়েছে।
দুপচাঁচিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সামছুন্নাহার এবং বগুড়ায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র বলেন, আন্দোলনকারীরা আমাদের থানায় আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে।