‘শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেবো না’

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত-শিবির রেল লাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং এদেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল, আবার সেই একি নাটক আমরা নতুন করে মঞ্চস্থ হতে দেখছি। এবার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো কিছু দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রী পূরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি আলোচনা করতে চান।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি ধ্বংসাত্মক কাজে জামায়াত-শিবিরের হাতিয়ার হয়ে উঠে তাদের দ্বারা নিজেদের কলঙ্কিত করা এটি কোন ছাত্র-ছাত্রীর কাজ নয়। আমরা অভিভাবক হিসেবে তাদের বাবা-মাকে অনুরোধ করবো, আপনাদের সন্তানদের ঘরে নিয়ে যান। স্কুল-কলেজ খুলবে, স্কুল-কলেজে পাঠাবেন। আন্দোলন করে রাজপথে আগুন জ্বালিয়ে, মানুষকে হয়রানী করে, দেশকে অস্থির করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে অহেতুক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না।
এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, সকল অপতৎপরতার পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির। যদি তারা মনে করে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন বিভ্রান্ত করে রাখতে পারবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে থাকবে না। তারা ঘরে ফিরে যাবে। যেহেতু তাদের দাবি পূরণ হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আপনারা আমাদের ডাকে বারবার রাজপথে এসেছেন। আমরা এভাবেই রাজপথে থাকবো। শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেবো না।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিয়ষক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনার সহ সকল থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।


প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৪ | সময়: ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ