মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “দুপুরে ডিবির নিজস্ব গাড়ি দিয়ে সবাইকে নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারা ডিবি হেফাজতে ৩২ ঘণ্টা অনশন করেছিল। তারা এখন খুবই ক্লান্ত। তাই আপাতত গণমাধ্যমে আপাতত কথা বলছে না।” ছাড়া পাওয়া ৬ সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
ছাড়া পাওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের ছয়জনকে একসঙ্গে ছাড়া হয়নি। আলাদাভাবে একজন করে পুলিশের গাড়িতে করে আমাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ছাড়ার মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট। আমরা শিগগির আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাব।”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুপুরে সচিবালয়ে বলেন, “ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কারণে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্ট ডিভিশনে একটা মামলা করা হয়েছিল। গতকাল শুনলাম মামলা চলাকালীন সময়ে একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। “এটাও ঠিক যে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য জিডি করেছিল। আজকে যখন তারা বলেছে যে তাদের আর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, তারা চলে যেতে চেয়েছে; আমরা তাদের বাধা দেইনি, তারা চলে গেছে।”
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে আনা হয়। কিন্তু তাদের বিষয়ে কয়েক ঘণ্টা কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। ওইদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেওয়া হয়। রোববার নেওয়া হয় নুসরাত তাবাসসুমকে।শফিকুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন নাছিম