বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: সাবেরা বেগম (২৭) নাটোর শহরের একটি বিউটি পার্লারের কর্মী। তিনি জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিমের স্ত্রী। সাহেরা বেগম অর্থ আর স্বার্থ হাসিল করতে একের পর এক শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব এবং উত্যক্ত করার ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিরীহ মানুষকে ফাঁসাচ্ছেন। তার হাত থেকে আপন মামা শ^শুরও রক্ষা পান নাই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সাবেরা বেগমের র্টাগেটে পড়েছেন ইউনুস আলী নামে এক মাদরাসা শিক্ষক।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেরা বেগম ইতিমধ্যে মামা শ^শুর আব্দুল জলিলের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এরপর সোহাগ হোসেন নামে এক যুবকের নামে একই অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, সাবেরা নানা জনের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। পরে সেই টাকা ফেরৎ চাইলে হুমকি দেন। তারপরও চাপ দিলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেন। আর যারা চেপে যান তারা মামলা থেকে রক্ষা পান।
বৃহস্পতিবার বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় একটি ক্যাফে হাউজে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ইউনুস আলী। তিনি লিখিত বক্তৃতায় জানান, ২০২২ সালে প্রতিবেশী সাবেরা বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের নিকট থেকে ৪ শতাংশ জমি কিনেন। রেজাউল করিম ওই জমি বিক্রির টাকায় সৌদি আরব যান। তার স্ত্রী সাবেরা বেগমকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। কিন্তু সাবেরা বেগম জমির দখল ছাড়তে তালবাহানা শুরু করেন।
সম্প্রতি জমি ছাড়তে চাপ দিলে গত রোববার ইউনুস আলীর নামে একই কায়দায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন বড়াইগ্রাম থানায়। ইউনুস আলী উপজেলার গাড়ফা দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার। এ সময় ইউনুস আলীর ভাগ্নে সাইদুল ইসলাম, ছোটভাই আব্দুল আলীম উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ বিষয়ে সাবেরা বেগম বলেন, ইউনুস আলী আমাকে নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিতো, তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। এছাড়াও নাটোর শহরে একা দেখা করার জন্য আমার প্রস্তাব দেয়।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন মোস্তফা শামসুজ্জোহা বলেন, ইউনুস আলী মাদরাসা শিক্ষক, তিনি একজন ভাল মানুষ। তার নামে এ ধরনের অভিযোগ করা ঠিক করে নাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খান বলেন, ইউনুস আলী নামের একজনের নামে সাহেরা বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।