বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি নিয়ে ছাত্রদের বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে চার শিশুর মৃত্যুর কারণসহ তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা এবং তাদের নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন আইনজীবী বিরোধী আলম খন্দকার।
আন্দোলনের সময় বাড়ি ছাড়া এর আশেপাশে নিহত শিশুদের নাম যুক্ত করা হয়েছে এই রিটে। তারা হলেন, আব্দুল আহাদ (৪), রিয়া গোপ (৬), সাফকাত সামির (১১), মোবাররক (১৩), আহমিদ (১৪), নাইমা আক্তার সুলতানার (১৫) এবং ইফাত (১৬)।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার যাত্রা-বাড়ীর রায়েরবাগ এলাকার এক বাড়িতে আব্দুল নামের ৪ বছর বয়সী এক শিশুর চোখে গুলি লাগে। সে সময় শিশুটি বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। আহাদের বাবা আবুল হাসান আয়কর বিভাগের উচ্চমান সহকারী। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।
ওই একই দিনই নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় বাসার ছাদে খেলার সময় ছয় বছর বয়সী রিয়া গোপের মাথায় গুলি লাগে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আবার একই দিনই মিরপুর ১৪ নম্বরের হাউজিং স্টাফ কোয়ার্টারে বাসার বেডরুমে জানালার ধারে টেবিলে বসে পড়ালেখা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয় ১১ বছর বয়সী সাফকাত সামির। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর রাজধানীর উত্তরায় চারতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছর বয়সী নাইমা আক্তার সুলতানা।
তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের কনভেনশন ও সংবিধান অনুযায়ী শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সেখানে কোনো শিশুকে বিনা কারণে হত্যা করা হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে রিটটি করেছি। এতে শিশুদের প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।