মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি: আমাদের সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বলে গেল, তাদের কোটা সংস্কারের দাবী যৌক্তিক ছিল। তারা মরে নাই, তারা শহীদ, তারা সারা জীবন ইতিহাসের পাতায় উজ্জীবিত থাকবে।
আজ মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন ও র্যালীতে এমন আবেগঘন বক্তব্যে জেগে উঠে পুরো ক্যাম্পাস। শিক্ষকদের সাথে ছাত্ররা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষকরা বলেন, এটি তোমাদের কর্মসূচি।
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারসহ ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের ৯ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আজ মুঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাবির মুল ফটকের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ৯দফা দাবি একাত্মতা ঘোষণা করেন রাবি শিক্ষকরা। প্রতিবাদ কর্মসূচীর শুরুতে প্রসাশনিক ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালী বের করেন নিপিড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজ। এরপর র্যালীটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে।
পরে রাবির মুল ফটকে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন থেকে অনতিলম্বে ছাত্র হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতেখায়ের আলম মাসুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রাবির ভেটেনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. ইসমত-আরা বেগম, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদ খান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন নকিব। তাছাড়াও মিডিয়ার সামনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বক্তব্য রাখেন আইবিএ বিভাগের প্রফেসর ড. হাসানাত আলী, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সহ আরও অনেকে।
দেশের কোন জায়গায় যেন শিক্ষার্থীদের উপর আর গুলি চালনা হয়, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের হত্যা, ক্র্যাকডাউনের নামে গণহারে গ্রেফতার ও শিকার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। ডিবি অফিসে আটক রাখা শিক্ষার্থীদের খাবারের ছবি ভাইরাল হওয়ায় সেই অফিসকে ভাতের হোটেলের সাথে তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে সরকার দেশকে ও জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সকল সামাজিক যোগা-যোগ-মাধ্যম বন্ধ করেছে, যা রীতিমতো মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাছাড়া সাধারণ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারলেও এমপি-মন্ত্রীরা ঠিকই মাসাজিক যোগা-যোগ-মাধ্যম ব্যবহার করছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। এ সময় ছাত্রদের ৯ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামীকাল আবারও উন্মুক্ত আলোচনার ডাক দিয়েছে নীপিড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজ।