রাজশাহীতে কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কমলাপুরে তানজির আহমেদ (১৬) নামের এক কিশোরকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোর চন্দ্রিমা থানাধীন ললিতাহার গ্রামের ফাইজুল ইসলামের ছেলে। এ নিয়ে আহত কিশোরের মা বিউটি বেগম নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২২ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তার ছেলে তানজির আহমেদকে বাইপাসের রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কমলাপুর গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান, আলতাবের ছেলে মোজাম, হাফিজুল (মাহিম), হাফিজুলের ছেলে শাকিব মৃত আজিজুরের আরেক ছেলে শফি, রুবেলসহ আরো কয়েকজন মিলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তানজিরকে তারা দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মারধরে যখন তার ছেলের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় তখন বিবাদীরা চন্দ্রিমা থানায় ফোন দিয়ে জানায়।
পরক্ষণে চন্দ্রিমা থানার পুলিশ তাদের ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের একটি দল তার ছেলে তানজিরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে যায়। এরপর তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ২৩ জুলাই সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে ২৫ জুলাই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পর তাকে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চন্দ্রিমা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আটক করে নিয়ে যায়। মামলাটি ২২ তারিখ রাতে দায়ের করা বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগকারী বিউটি বলেন, আমার ছেলের সাথে বিবাদী শফিজুলের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক মানতে না পেরে মেয়ের বাবা-চাচারা আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। যদি তানজির ধর্ষণের চেষ্টা করেই থাকে তাহলে পুলিশ ২২ তারিখ রাতে কেন উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে গেল? ওই রাতেই আটক হতে পারতো? পুলিশ যে বাড়িতে দিয়ে গেছে তা স্থানীয় মানুষজন দেখেছেন। প্রতিপক্ষের লোকেরা মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। আমি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ আমার ছেলেকে আটক করার পরদিন দুপুরের পরে আদালতে চালান করেছে। কিশোর হলেও তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়েছে। আমার ছেলেকে যারা বিনা কারণে মারধর করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
চন্দ্রিমা থানার ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, থানায় ওই কিশোরের মা একটি অভিযোগ করেছেন। সেটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২২ তারিখ রাতে থানায় তানজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ২২ জুলাই রাতে কেন পুলিশ তানজিরকে আটক না করে তার বাড়িতে দিয়ে আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, পুলিশ তানজিরকে উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে এসেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।


প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪ | সময়: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ