শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি নাশকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে হামলা-কারীরা। রাবি ১০টি হলের ১৫৮টি কক্ষে তান্ডব চালানো হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে একটি হলে। পুড়ানো হয়েছে ১৯টি মোটরসাইকেল। সব মিলিয়ে নশকতার দিনগুলোতে চলানো তাণ্ডবে রাবি’র ক্ষতি ৪ কোটি টাকা। আবাসিক হলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাবি সূত্র জানায়, আবাসিক হলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম একরাম উল্যাহকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুলকে। কমিটিকে আট সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য। ঘটনার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কী করণীয় (সুপারিশ) সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জানান, যে সহিংসতা ঘটে গেছে এটা খুবই দুঃখজনক। শুরুতে যে আন্দোলন হয়েছিলো কোটা সংস্কারের দাবিতে সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিলো। কিন্তু পরে বহিরাগতরা ঢুকে জ্বালাও-পোড়াও করলো ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা তাকে ও শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেননি। বহিরাগতরা রাবিতে প্রবেশ করতে শুরু করে আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে। বড় ধরনের নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই তারা বাধ্য হয়ে বাইরে সংবাদ পাঠায় ও যৌথ বাহিনী এসে উদ্ধার করে।
উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টা আগে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও হলগুলোকে বসবাসের উপযোগী করতে হবে। বেশকিছু হল এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে কেউ দেখলে তার মনে আঘাত লাগবে। তাই আমরা চাইনা যে শিক্ষার্থীরা এসে এসব দেখুক। আমরা এসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এদিন শিক্ষার্থীরা আমাদের অবরুদ্ধ করেননি। আমরা লক্ষ্য করলাম বাইরে থেকে প্রচুর বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হুইছেল বাজিয়ে ঢুকতে শুরু করলো। তারা প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে ইলেকট্রিসিটির লাইন কেটে, জেনারেটর বিস্ফোরণের চেষ্টা করে। এতে আমার সাথে থাকা প্রায় অর্ধশত শিক্ষক এবং প্রায় শতাধিক কর্মচারী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তখন আমরা বুঝতে পারলাম তারা নাশকতা করবে। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে খবর পাঠালে এখানে থাকা যেীথ বাহিনী আমাদের উদ্ধার করেন।
উপাচার্য গোলাম সাব্বির বলেন, এবার সন্ত্রাসীরা যে আকারে এসেছে তাদের যে চেহারা আমরা দেখেছি তা আগামীর জন্য খুব আশঙ্খাজনক। সবাইকে অনুরোধ করবো শান্ত হতে। এসকল বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবতে হবে তারা কিভাবে এগোতে চাই । কারণ, বিশ্ববিদ্যলয় মানেই এগিয়ে যাওয়া। আমরা একদিন যদি থেমে থাকি তাহলে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেতে হবে বহুদূর।