রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন দেশের মানুষ। দেশের উন্নয়নের কারণে বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহ হচ্ছে। উন্নয়নে গাত্রদাহ থেকেই দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বোয়ালিয়া (পূর্ব), বোয়ালিয়া (পশ্চিম), শাহ মখদুম ও রাজপাড়া (আংশিক) থানা আওয়ামী লীগ ও সহেযাগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে যখন সরকারের মন্ত্রীদের আলাপ-আলোচনা চলছিল, সেই সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব হাইজ্যাক করে নেয় বিএনপি-জামায়াত-ছাত্রশিবির। এরপর দেশের উন্নয়নমূলক অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। ঢাকায় সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাড়ি গান পাউডার দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই যেকোন ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীসহ অপশক্তিকে শক্তিহাতে মোকাবেলা করতে হবে। অতীতেও আমাদের বিজয় হয়েছে। এবারো আমরা লড়বো এবং আমরাই জিতবো।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, আইন সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ধর্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল প্রমুখ।