নগরীতে হত্যা মামলায় যুবককে আটক করেছে র‌্যাব 

স্টাফ রিপোর্টার : 
সিপিএসসি, র‌্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৬ জুলাই দুপুর দেড়টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন উত্তর নওদাপাড়া নামক এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে “চাঞ্চল্যকর হত্যা” মামলার মূলহোতা এজাহারনামীয় ০১নং আসামি মোঃ আরিফ (২২), পিতা- মোঃ মজিজুল ইসলাম তোতা, সাং- মুরারীপুর, থানা- দামকুড়া, রাজশাহী মহানগরীকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাবের প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিকটিম মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৪) পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৫/০৭/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটার দিকে অটোরিক্সা চালিয়ে বাড়িতে আসে এবং রাতের খাবার খাওয়া শেষে রাত্রী অনুমান ১০টার সময় শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে এবং ভোর বেলা ফজরের নামাজ পড়ে হাটা-হাটির উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর সকাল অনুমান ০৬ টার সময় প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর আসে ভিকটিম মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৪) রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে। ধৃত আসামী মোঃ আরিফ (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামী ভিকটিমকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে দুই পায়ের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ভিকটিমের পিতা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ১৬/০৭/২৪ তারিখ বেলা তিনটায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন উত্তর নওদাপাড়া নামক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মূলহোতা এজাহারনামীয় ১ নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ধৃত আসামী মোঃ আরিফ ও নিহত ভিকটিম মোঃ নুরুল ইসলাম একই এলাকার প্রতিবেশী। ভিকটিম ও আসামীর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে ধৃত আসামী ভিকটিমকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে হত্যা করে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় এবং তার ফুপুর বাসায় আত্মগোপন করে এবং দ্রুত চুল কেটে ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক তাকে চিনতে না পারে। উক্ত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা করা হয়েছে।

সানশাইন / শামি