শনিবার, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী কালেক্টর মাঠে চলছে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল। যেখানে ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী পর্যটন আকর্ষণসহ আরো অনেক কিছুর প্রদর্শনী করা হচ্ছে। এ ফেস্টিভ্যানে ৯নং স্টলে জয়পুরহাটের শর্মা সুইটের। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ওই এলাকার বিখ্যাত মিষ্টি ‘হাড়িভাঙ্গা’।
স্টলটিতে ‘হাড়িভাঙ্গা’র পাশাপাশি দুধ কুমারী মিষ্টি দেখে জিহ্বায় জল না এসে উপায় নাই। জয়পুরহাটে ৫০ প্রকার মিষ্টি ও রসগোল্লা তৈরি হয়। বিশেষ করে মিনা সুইট (শর্মা ) হাড়িভাঙ্গা ও দুধকুমারি মিষ্টির জন্য বেশি সমাদৃত। দাবী উঠেছে জিআই পন্য হিসেবে নাম উঠুক এই মিষ্টির ।
রাজশাহী কালেক্টর মাঠে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে জয়পুরহাট থেকে আসা শর্মা সুইটের স্টলে বিক্রি হচ্ছে বিখ্যাত মিষ্টি ‘হাড়িভাঙ্গা’। তাদের মিষ্টি প্রদর্শনীতে প্রতিটি হাড়িভাঙ্গা মিষ্টির দাম ৮০ টাকা করে। এছাড়াও তাদের স্টলে লাড্ডু সন্দেশ আরো কয়েক প্রকারের মিষ্টি।
জয়পুরহাটের এই মিষ্টি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় চাহিদা অনুযায়ি পাঠানো হয়। চীন মৈত্রী সম্মেলনে জয়পুরহাটের এই মিষ্টি তৃতীয় স্থান করে নিয়েছিল। তাদের একজন স্টাফ জানান,শর্মা সুইট দেশের প্রতিটা পণ্য প্রদর্শনী মেলায় তাদের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি প্রদর্শন করেন।
মিষ্টি ভালোভাসে এমন মানুষ যদি ‘হাড়িভাঙ্গা’ আর ‘দুধ কুমারী’ মিষ্টি খায় তাহলে প্রেমে পড়তে বাধ্য। তাদের একজন কর্মচারী লিটন সর্দার জানান, এই হাড়িভাঙ্গা ও দুধকুমারি মিষ্টি ২০ থেকে ২৫ বছর আগে ভারতের কলকাতা থেকে বানানো শিখে এসেছিলেন তারা। তারপর স্থানীয়ভাবে বানানোর পর সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টিটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তারপর থেকেই শর্মা ‘হাড়িভাঙ্গা’ ও ‘দুধকুমারী’ মিষ্টি বানানো শুরু করে।
কর্মচারী সজিব বলেন, জয়পুরহাটের মিষ্টির এখন খুবই সুনাম। হাড়িভাঙ্গা এবং দুধকুমারী মিষ্টি এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর রপ্তানী মেলায় স্টল থাকে হাড়িভাঙ্গা মিষ্টির, জানালেন মিনা সুইট মিটের স্বত্বাধীকারী রোহিত শর্মা জি-আই পন্য হিসেবে মিষ্টিশিল্প বিকশিত হোক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক জয়পুরহাটের ‘হাড়িভাঙ্গা’ আর ‘দুধ কুমারী’ মিষ্টি।