মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ মুখোমুখি হয়েছিলেন। শনিবার কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠে নামনে প্রথমবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে নামা তাসকিন। অন্যদিকে ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের হয়ে মাঠে নামেন শরিফুল। আগে ব্যাটিং করে তাসকিনদের কলম্বো ৯ উইকেটে ১৯৯ রান করে। জমজমাট লড়াইয়ে ক্যান্ডিকে ১৯৭ রানে থামিয়ে তারা ২ রানে জেতে।
ডাম্বুলাতে গ্লেন ফিলিপসের ৭০ রানে ভর করে কলম্বো বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারে তাসকিন ক্যান্ডির ওপেনার দিনেশ চান্দিমালের উইকেট তুলে নেন। ভালো শুরুর পরও চাপ অব্যাহত রাখতে পারেনি কলম্বো। দ্বিতীয় উইকেটে আন্দ্রে ফ্লেচার ও মোহাম্মদ হারিস ৯৫ রানের জুটি গড়ে ক্যান্ডিকে বিপদমুক্ত করেন। ফ্লেচার ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। স্কোরবোর্ডে আরও ৪ রান যোগ হতেই হারিসও ফিরে যান। দলের সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার।
এরপর কামিন্দু মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ মিলে দলের স্কোর নিয়ে যান ১৬৫ রানে। কিন্তু জয় থেকে ৩৫ রান দূরে থাকতে স্কোরবোর্ডে কোনও রান না তুলেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যান্ডি। শেষ দিকে যদিও সমীকরণ মেলানোর সুযোগ ছিল তাদের। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রানের। কিন্তু থিসারা পেরেরাকে দুই ছক্কা ও এক চার মেরেও সমীকরণ মেলাতে পারলেন না ম্যাথুজ। টানা ৬, ৪ ও ৬ মারার পর শেষ বলে প্রয়োজন ছিল তিন রানের। কিন্তু ম্যাথুজ আউট হলে কলম্বো ম্যাচ জেতে। ১৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হন লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক।
কলম্বোর বোলারদের মধ্যে ২৬ রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন মাথিশা পাথিরানা। এছাড়া তাসকিন, থিসারা পেরেরা ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে কলম্বোর দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি গুরবাজ। ১০ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি শরিফুলের বলে। ২৩ বলে ৩৮ রান করে মারকুটে ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হন পেরেরাও। অন্য প্রান্তে যখন ব্যর্থতার মিছিল, তখন একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন ফিলিপস। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই কিউই ব্যাটার। ৪৩ বলে ৭০ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর শাদাব ১২ বলে ২৩ রান করেন। ৫ বলে ১৩ রান করে শরিফুলের বলে আউট হন করুণারত্নে। শেষ দিকে তাসকিন ৪ বলে ৭ রান করেন। এতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের বড় পুঁজি পায় কলম্বো। ক্যান্ডির হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন দুশমন্থ চামিরা। এছাড়া শরিফুল এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুটি করে, দাসুন শানাকা এবং ডি সিলভা নেন একটি করে উইকেট।