শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রায় দুই বছর ধরে জমিতে ইট বালি ফেলে রাখলেও বাড়ি করার সাহস পায়নি ভূক্তভোগী পরিবার। পুলিশী সহায়তা চেয়ে এক এএসআইয়ের সাফ কথা শুনেছেন এখানে বাড়ি করা যাবেনা। ইতমধ্যে জোরপূর্বক যারা বাড়ি দখল নিতে চায় তারা ইট বালি নিজের মনে করে নিয়ে গেছেন। একবার হাসুয়া নিয়ে তাড়াও খেয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশী সহায়তায় জানে বাঁচেন। এসব ঘটনায় বাড়ির ভিটাজমি রক্ষায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকিবুল ইসলাম এর ছেলে সফিকুল ইসলাম জনি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সফিকুল ইসলাম জনি বলেন, বি. বাড়ীয়া জেলার, নবীনগর থানার বাড়াইল গ্রামে তার আদি নিবাস। বর্তমানে তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ৫২/১৫, শাহমখদুম আবাসিক, সপুরা, রাজশাহীতে বসবাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধিনে ত্রৈমাসিক শ্রম শক্তি জরিপে তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে কাজ করছেন। তাঁর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডে ০.০৪ শতক জমি রয়েছে। যার জে.এল নং -৮১, আর.এস খতিয়ান নং -১২৯ , দাগ নং -৮৪৩। এই জমিটি তার বাবা ক্রয় করেছিলেন। তার জায়গাতে বাড়ি করতে গেলে অত্র ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আলেক, আলেকের স্ত্রী জোসনা বিবি, মামুন মর্জিনা ও আশরাফুল বাঁধা প্রদান করে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন মামুন এবং আশরাফুল সহ কিশোর গ্যাং এর অন্যান্য সদস্যরা তাকে নিরীহ পেয়ে জায়গাটি জবরদখল করতে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান ও মামলা করেছেন। সফিকুল বলেন, তিনি বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র প্রদান করলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও আদালত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তারপক্ষে রায় দেয়। রাসিক এর পক্ষ থেকে একটি বোর্ড গঠন করে এই রায় দেন। শুধু রায় নয় জমিটি বুঝে দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ আলেক এই রায় না মেনে তার দবলবল নিয়ে তাঁকে অত্র বাড়ির ভিটায় বাড়ি নির্মাণসহ কোন কাজ করতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় তিনি রাজশাহী কোর্টে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেইসাথে শাহ্ মখ্দুম থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। কোর্ট থেকে বিবাদীকে জমিতে যেতে নিষেধ করেন। এই সুযোগে তিনি বাড়ির ভিটা পরিস্কার করতে গেলে আলেক গংরা আবারও তাঁর উপরে চড়াও হয় এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেন। এখন তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই জমি রক্ষায় ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলে কোন লাভ হয়নি। তিনি এ নিয়ে কোন মিমাংশা করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাঁর এই জমি ছাড়া অন্য কোন জমি নাই। তার সহায়সম্বল এই জায়গাটুকু। তিনি তাঁর নিয়ে পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে দিয়ে দিনাদিপাত করছেন। এ বিষয়টি সংবাদপত্রে তুলে ধরে সহযোগিতা করতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার জমিটি বুঝে দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। এ সময়ে তাঁর মা রমিজা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আলেকের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সফিকুল ইসলামের সাথে তার জমি নিয়ে কোন বিরোধ নাই। তাদের দাগ আলাদা। তাদের জমিতে তারা যাই করুক তাতে তার কিছুই যায় আসেনা সাফ জানিয়ে দেন আলেক।
সানশাইন / শামি