মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক রিকশা চালককে লোহার রড গরম করে বাড়ির ভিতরে হাত পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জুন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম সুজন (২৪) পিতা মৃত সাহজাহান আলী।
এই ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
রিকশা চালক সুজন জানান, গত ২২ জুন রাতে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি রিক্সা ভাড়ার নেওয়ার জন্য আমাকে তার বসত বাড়ীতে ডাকে, আমি তার বাড়িতে গেলে দলবদ্ধ হয়ে তার বসত বাড়ীর শয়ন ঘরের ভিতর আমাকে আটকে রাখে। হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
সে আরো জানায় ৫-৭ জন ব্যাক্তি মাটিতে শুইয়ে তার হাত-পা চেপে ধরে থাকে এবং হাতে থাকা লোহার রড আগুনে গরম করে তার পিঠে একাধিক স্থানে ছেকা দিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু জানান রিকশা চালক সুজনকে পশুর মত নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে মানুষ মানুষকে মারতে পারে? তার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা দেখে সবাই আঁতকে উঠবে। যারা এভাবে তাকে নির্যাতন করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এর বিচার চাই।
নির্যাতিতর বড় ভাই জামিল হোসেন গোদাগাড়ী মডেল থানায় পাঁচজনের নামসহ অঙ্গাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন মাদারপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম এই এলাকার রবিউল ইসলাম, বাবু (২৫), পারভীন (৪৫), মরিয়ম (৩০)।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জানান, রিকশা চলক সুজনকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।