বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টর, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের ঘটনায় রবিবার দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। তবে প্রধান আসামী আলোচিত মেয়র আক্কাস আলীকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এ মামলার বাদি হয়েছেন পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতা শাহিনুর রহমান পিন্টু।
শনিবার সকাল ১০ টায় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে একাধিক মামলার আসামী বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম, সীমাহিন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ২৫ জন।
এরমধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ডাক্তার জানিয়েছেন তাঁর অবস্থা এখন পর্যন্ত আশংকা জনক। যে কোন মুহুতে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ট করা লাগতে পারে।
এদিকে উক্ত হামলার ঘটনায় বাঘা পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু পৌর মেয়র আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামী করে মোট ৪৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী রয়েছে আরো প্রায় ২০০ জন। এরমধ্যে আক্কাছ আলীর ভাগিনা জেলা যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সহ ৭ জন আটক করেছে থানা ও ডিবি পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত আলোচিত আক্কাছ আলীকে আটক করা সম্ভাব হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এ মামলায় অন্যান্য আসামী হিসাবে যারা আটক রয়েছে তারা হলেন লিটন আলী, তরঙ্গ, মারুফ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মতিউর রহমান ও নাসির উদ্দিন।
উল্লেখ্য শনিবার সকালে পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০ টায় বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। অপর দিকে ঠিক একই সময়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের আধিপত্য বিস্তার ভাঙ্গার জন্য উপজেলা নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা করেন আক্কাস আলী ও তার সমর্থীতরা।
ঘটনার এক পর্যায় মানব বন্ধন শুরু হওয়ার ঠিক ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় সেখানে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালাই মেয়র আক্কাস আলী সহ তার সমর্থীতরা। এ ঘটনায় মোট ২৫ জন আহত হন।
এরমধ্যে আক্কাছ গ্রুপের রয়েছে ৫ জন। তবে অপর গ্রুপের নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুলের অবস্থা আশংকা জনক। তিনি এখন রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবারের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। মেয়র আক্কাছ আলী সহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, আক্কাছ আলীর নামে গত ২১ মার্চ ২০২২ তারিখ উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে হামলা সহ বিভিন্ন সময় একাধিক সন্ত্রাসী এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা রয়েছে।


প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪ | সময়: ৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ