শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইটে উঠে গেলো আফগানিস্তান। প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে পাপুয়া নিউগিনির দিকে তাকিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আফগানদের শক্তির কাছে পাত্তা পেলো না পাপুয়া নিউগিনি। তাদের ৭ উইকেটের হারে স্বপ্নভঙ্গ হলো কিউইদেরও। গ্রুপের দুই ম্যাচ হাতে রেখেও বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হলো।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় আফগানিস্তান। ফজলহক ফারুকী ও নাভিন উল হক বল হাতে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট করে দেন। দ্বিতীয় ওভারে আসাদ ভালাকে (৩) রানআউট করে আফগানরা। কভার পয়েন্টে বল পাঠিয়ে তৃতীয় রান নিতে চেয়েছিলেন পাপুয়া নিউগিনি অধিনায়ক। ব্যর্থ হন তিনি।
তৃতীয় ওভারে ফারুকীর প্রথম দুই বলে লেগা সিয়াকা ও সিসি বাও গোল্ডেন ডাক মানের। নাভিন টানা দুই ওভারে হিরি হিরি ও টনি উরাকে আউট করে ধসিয়ে দেন। পাওয়ার প্লেতে ৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় পাপুয়া নিউগিনি। চ্যাড সোপার (৯) ও নরম্যান ভানুয়া (০) রশিদ খানের দক্ষতায় রানআউট হন। ৫০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কিপলিন দোরিগা ও আলেই নাওয়ের জুটিতে একশ ছাড়ানোর আভাস দেয় দলটি। কিন্তু ৩৮ রানে ভেঙে যায় এই জুটি।
নাও করেন ১৩ রান, ইনিংস সেরা ২৭ রান আসে দোরিগার ব্যাটে। শেষ তিন ওভারে বাকি ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। ১৯.৫ ওভারে ৯৫ রানে অলআউট তারা। ফারুকী ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ২.৫ ওভারে ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পান নাভিন।
গত দুটি ম্যাচেই ওপেনিং জুটিতে একশ ছাড়ানো আফগানিস্তান এবার দুই ওপেনারকেই হারায় তিন ওভারের মধ্যে। সেমো কামিয়ার বলে ডাক মারেন ইব্রাহিম জাদরান। নাও বোল্ড করেন গুরবাজকে (১১)। ২২ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানরা। দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে নামা গুলবাদিন নাইব শুরুতে সতর্ক ছিলেন। আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়ান তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (১৩) নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন নাইব।
৫৫ রানে তিন উইকেট পড়ার পর নাইব ও মোহাম্মদ নবী ক্রিজে থেকে আফগানদের জয় এনে দেন। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতান নাইব। ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১৬ রানে খেলছিলেন নবী। ৩ উইকেটে ১০১ রান করে আফগানরা। ‘সি’ গ্রুপে তিন ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান। আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমান পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে।