সোমবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: বায়ু দূষণের কারণে দেশে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে সংসদে তুলে ধরেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি হলে সংগত কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়বে। যেহেতু দেশে বায়ুদূষণ বেশি সেক্ষেত্রে অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সেই সংখ্যা কত তা তিনি জানাননি। বায়ুদূষণ শূন্যের কোটায় আতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন বলেন, দেশে বর্তমানে ছয় হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দুই হাজার ৩৩৮টি অভিযান পরিচালনা করে চার হাজার ৪৩৬ মামলা করা হয়েছে। অভিযানে ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করাসহ ১ হাজার ১৮০টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, এলাকাভিত্তিক প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ার কারণে নানা সমস্যা হয়। তবে সারাদেশেই অনলাইন সিস্টেম চালু রয়েছে। নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন ভূমিসেবা দিতে শক্তিশালী সার্ভার স্থাপনসহ ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে কাজ করছে সরকার।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের ভূমিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ‘ক’ তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৩১০টি মামলার মধ্যে ৩৩ হাজার ৮৯২টির রায় হয়েছে। এতে ১৪ হাজার ৭১৪টি মামলায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে রায় হয়েছে, যাতে সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ১১৫ একর। তিনি বলেন, বাতিল করা ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাবি করে চার লাখ ১৫ হাজার ৩৯৮ নামজারি আবেদনের পক্ষে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮৪১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে ৫০৪ বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি: স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরই মধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে ৫০৪ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী সব নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রমও চলমান আছে।
সরকার দলীয় সৈয়দা জাকিয়া নূরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাদের নাম এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে তালিকায় নাম থাকলেও যারা পাননি তাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।