সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সোমবার ওই বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
নরেন্দ্র মোদী গত ১০ বছর গত ধরে ভারতের সরকার পরিচালনা করছেন এবং শেখ হাসিনার সরকারও এরইমধ্যে ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সম্পর্কে কী- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। যেহেতু উভয় সরকার দেশ পরিচালনায় অব্যাহত রয়েছেন, সেহেতু একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুবিধা আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, উভয় দেশের জনগণ বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হচ্ছে যার মধ্যে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে যোগাযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত এবং আরো গভীর হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওই সাক্ষাতের পর দুই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সোমবার সকালে তার দুটি পৃথক বৈঠক হয়।
এর আগে রোববার নরেন্দ্র মোদীর শপথের আগে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সর্বশেষ ঢাকায় সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।