‘দূষণ রোধে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার শাখার পরিচালক পারভেজ রায়হান, রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় রাজশাহী’র উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ট্রেনিং এন্ড ক্যাম্পেইন স্পেশালিস্ট গাজী মহিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শব্দদূষণ একটি নিরব ঘাতক অথচ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নেয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শব্দ দূষণের সাথে সম্পৃক্ত। অহেতুক শব্দ মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির বড় কারণ। তাই এ দূষণ রোধে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। তাই নিজ-নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ রোধে তিনি সকলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যা, বিশেষ করে বয়স্কদের স্মৃতি শক্তি হ্রাস, মেজাজ খিটখিটে, মাতৃগর্ভে সন্তানের অস্বাভাবিকতাসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা তৈরি হয়। অথচ আমরা আমাদের আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে শব্দ দূষণ কমাতে পারি। একইসাথে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত আইনে শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪ | সময়: ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ