রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত সর্বজনীন প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে সমবেত হয়ে রাবির এবং প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ২১৭ নম্বর কক্ষের নিচে রুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ এই কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং স্বতন্ত্র সুপারগ্রেড প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।
কর্মসূচিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের হুশিয়ারি দিয়ে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আজকে আমরা এজায়গায় দাঁড়িয়েছি আমাদের জন্য নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য। যারা ভবিষ্যতে এই পেশায় আসবে তাদের কথা ভেবে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ ও দেশকে রক্ষায় আজকের এই কর্মসূচী। আমাদের এই দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা আগামী ২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস বিরতিতে যাব। তারপরও যদি আমাদের আন্দোলনের কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে ৩০ জুন আমরা পূর্নদিবস কর্মবিরতিতে যাব। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে পহেলা জুলাই থেকে আমরা সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ ঘোষনা করবো যা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শাহেদ হাসান খান বলেন, শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। কিন্তু সরকার যে বৈষম্যমূলক পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবো। পৃথক দুই কর্মসূচিতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২৬ মে একই দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।এরপর গত ২৮ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ জায়গা থেকে রাবির শিক্ষকবৃন্দ এবং সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ২১৭ নম্বর কক্ষের নিচে একযোগে দুই ঘন্টাব্যাপী কর্মবিরতী পালন করেন।